ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে চলে যেতেই হবে। অনেকেই নীতিগতভাবে এ ব্যাপারে একমত হয়েছে। ১২ দলও তার অপসারণের বিষয়ে একমত।
রোববার সন্ধ্যায় খিলগাঁও চৌধুরী পাড়ায় জাতীয় পার্টির কাজী জাফর অংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারসহ ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে বিকেল চারটায় ১২ দলীয় জোটের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বৈঠকে বসেন।
বৈঠকের পর হাসনাত আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতির অপসারণ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। একই সঙ্গে তার যাওয়ার পর কে আসবেন সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তাদের নিজস্ব ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এ ব্যাপারে হাসনাত বলেন, বিএনপির নেতারা বিচ্ছিন্নভাবে মতামত দিয়েছেন। তাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত জানার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
তাদের প্রত্যাশা, জনগণের মনের চাওয়া বুঝে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মতো এই বিষয়েও বিএনপি পাশে থাকবে।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রপতির অপসারণ। নীতিগতভাবে তার অপসারণে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে ১২ দল। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়া এই প্রশ্নে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অনেক ক্ষেত্রে সফল হলেও বাজার পরিস্থিতিসহ বেশ কিছু জায়গায় তারা ব্যর্থ হচ্ছে। তারা ব্যর্থ হলে দেশ ও জাতি ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে।
জোট মুখপাত্র বলেন, ১২ দল চায় বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতি অপসারণের বিষয়ে একমত হোক।
বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ আহসানুল হুদা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের মহাসচিব প্রফেসর আব্দুল করিম।
অপরদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সমন্বয়ক সারজিস আলম, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, নাগরিক কমিটির পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি আদিব মমিন আরিফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুউদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।