নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা মাদারীপুর সদর খানার ধুরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তুলে তা তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। আবেদনকারীর অভিযোগ, চেয়ারম্যান হাবিব সাবেক সরকারি চাকরিজীবি। তিনি ট্রেজারী শাখায় কর্মরত ছিলেন। এই পদে চাকরি করার সময়ে জমি অধিগ্রহণসহ নানা খাতে দূর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। সরকারী চাকরিতে থাকাবস্থায় মাদারীপুর সদর থানার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য এবং ধুরাইল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ গ্রহণ করেন। এই বিষয় জানাজানি হলে জেলা প্রশাসনের চাপে বাধ্যতামূলক অবসরে যান হাবিব। চাকরি থেকে গ্রামে ফিরে গিয়ে রাজনৈতিক পদ ও টাকার জোর খাটিয়ে গুন্ডা বাহিনী গড়ে তোলেন। যাদের ব্যবহার করে এলাকায় মাদক ব্যবসা, আড়িয়াল খালে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন, এলাকায় অসহায় মানুষের জমি দখল, বিদেশে চাকরির নামে টাকা আত্মসাৎ, বাংলাদেশ থেকে লিবিয়ায় মানব পাচারের অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও চেয়ারম্যান হাবিবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেন। হাবিব ও তার সহযোগিদের মাদারীপুর সদর থানায় একাধিক মামলা হইয়াছে। সহযোগী আলমগীর খান ও জাহিদ খান একাধিক মামলায় জেল খাটিয়াছেন। কোন কিছুই তিনি পরোয়া করেন না। আবেদনে চেয়ারম্যান হাবিব ও তার স্ত্রী আক্তার শিপুর রাজধানীর খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট ও গাড়ি থাকার তথ্য দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও মাদারিপুরের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ঠিকানা তুলে ধরা হয়। এছাড়াও এই জন প্রতিনিধির ভাই সাইদুল হাওলাদার ও তার স্ত্রীর সম্পদের বিবরণও তুলে ধরেন আবেদনকারী। এ দিকে দুদকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে ধুরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন,এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আসছে। মাদক, জমি দখল ও বালু তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো সব মিথ্যা অভিযোগ। বরং আমি নিজেই এই সকল অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার। রাত জেগে আমি বালু খেকোদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। আমি নিজে মাদক কারবারিদের ধরে পুলিশে দেই। এই সকল কাজ বন্ধ করতে একটি পক্ষ আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আসল সত্যটা জানতে হলে আমার এলাকায় আসুন। দেখে যান, আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ কতটা সত্য। আপনারা সব দেখতে পারবেন।