৭ই অক্টোবর সোমবার, প্রথমআলো পত্রিকার বিশেষ সাক্ষাৎকারে আপনি বলেছেন “জেলে না গিয়ে বঙ্গভবনে শপথ নিলাম”পতিত সরকারের উদ্দেশ্যমূলক আপনাকে শাস্তির আহতায় এনে বিভিন্ন ধরণের মামলা করা হয়েছিল। সারা দেশ ও বিশ্বব্যাপী এই মামলাগুলোকে ঘৃণার চোখে দেখেছেন। কিন্তু বড়ো বড়ো রাজনৈতিক দলগুলো আপনার উপর চাপিয়ে দেওয়া মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য কোনো হরতালও করেননি । কোনো বিবৃতিও দেননি।অথচ আপনি শুধু একজন স্বনামধন্য ব্যাক্তিত্ব সম্পন্যই নন, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েড বিজয়ী সদস্য। বিদেশ থেকে বহু নোবেল লরিয়েড স্বনামধন্য ব্যাক্তিরা প্রতিবাদ করেছেন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি জনাব মাহমাদুর রহমান সহ ছোট ছোট রাজনৈতিক যে দল গুলো প্রতিবাদ করেছিলেন,তাদেরকে আপনি মনে রাখেননি।শুধু তাই নয় “অন্তরবর্তীকালীন সরকার” এই নামের প্রবর্তক জনাব মাহমাদুর রহমান মান্না,তাকেও আপনি নিজের মতো করে ভাবেন নি।
আমি আপনার সেই মামলার হাজিরার দিনে ৬ তলায় আদালত কক্ষে স্বৈরাচারীনি সরকার ইচ্ছাকৃত লিফ্ট বন্ধ করে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে বাধ্য করেছিলেন। আমি ব্যাক্তিগতভাবে খুব কষ্ট পেয়েছি। আমি প্রতিবারই কোর্টে হাজিরার দিন উপস্থিত থেকেছি। দূর থেকে আপনার সিঁড়িতে ওঠার দৃশ্য আমি দেখেছি। খুব কষ্ট হয়েছে আমার। এরকম হয়তো হাজারো মানুষের কষ্ট হয়েছে।আমার বাড়ি নওগাঁ জেলায়, উপজেলা শহরেই থাকি। কিন্তু তারিখের দিনই আমি ঢাকায় উপস্থিত হই। শুধু আপনাকে দেখার জন্য।
এখানে আরো বলেছেন “আমার প্রথম কাজই হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করা।হ্যা” আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গেলে পুলিশ বাহিনীর প্রয়োজন। যাকে দিয়ে আপনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করবেন, তারাই তো আন্দোলরত ছাত্রজনতার বুকে গুলি করেছে, চোখে গুলি করেছে, পায়ে গুলি করেছে। আহত হয়ে এখন ২০,০০০ ছাত্রজনতা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। প্রায় ১৪, ০০০ ছাত্রজনতা গুলি করে হত্যা করেছে। নতুন করে পুলিশ সদস্যের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থার উন্নতি হবেনা বলে মনে হয়
বড় বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা এই সুযোগে আপনাকে হটিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় তারা বারবার বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দেন। সুযোগ সন্ধানী ক্ষমতালোভী ব্যাক্তিরা অতীতে প্রায় ১৭ বছর আন্দোলন করেও স্বৈরাচারীনি কে সরাতে পারেনি। আজকে যারা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন, মাত্র ১৫ দিনের আন্দোলনে ৩০০ সদস্যের একটা পার্লামেন্ট, ২লক্ষ পুলিশবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
এখন কোনো নির্বাচনের রোডম্যাপের প্রয়োজন নাই, রোডম্যাপ দিলেই মনোনয়ন বাণিজ্য শুরু করে দিবে।এখন প্রয়োজন রাষ্ট্র সংস্কারের। পুরাতন নিয়মগুলো বাতিল করে দিয়ে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে খোজখবর নিয়ে সংস্কার করুন। আগামী পার্লামেন্টে যেন কোনো ব্যাবসায়ীর ক্লাব না হয়।
২৫ থেকে ৪০ বয়সের নেতৃত্ব আনতে হবে। বুড়োদের রাজনীতি করার খেয়েস মিটিয়ে দিতে হবে। এইজন্য আপনাকে সারা দেশবাসী সময় দিতে চায়।
রাজার ছেলে রাজা হবে, রানীর ছেলে রাজা হবে এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে স্যার। আপনি বলেছিলেন, এতো বড়ো সুযোগ আর কখনোই আসবে না। দায়িত্ব সম্পন্ন করেই আমরা আপনাকে বিদায় দিতে চাই।
নাম : আব্দুর রউফ মান্নান
Mobile:০১৭৪০৯০১৪৬১