চামড়াশিল্প খাতের কোম্পানি বাটা শু কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩১ মে ২০২২ পর্যন্ত ব্যাংক ঋণের অবস্থান এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে সিআরএবি।
এদিকে আগের হিসাববছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২২) পণ্য বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) প্রায় এক হাজার ৫৮৮ শতাংশ বেড়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়া খাতের প্রতিষ্ঠান বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের। জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২২) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৯ টাকা ৪১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১৫ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ১৮ টাকা ২৬ পয়সা বা এক হাজার ৫৮৮ শতাংশ। এদিকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৩১৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে এ আয় ছিল ২১৭ কোটি ৬ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে এ মুনাফা ছিল ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ টাকা ৪১ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৪৪ পয়সা (ঘাটতি)। চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে আয় হয়েছে ৫২৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে এ আয় ছিল ৪০১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১২৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বা ৩১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। তার আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ লোকসান ছিল ৭০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এদিকে ৩০ জুন, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭৪ টাকা ২৪ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৮ টাকা ৮৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪০ টাকা ৯৯ পয়সা।