বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিবাদী সরকার হাসিনার আমলে বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যে সর্বোচ্চ নির্যাতন নিষ্পেষণের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মী এবং সাধারণ সমর্থকরা।
মিথ্যা মামলা দিয়ে জামাতের সর্বোচ্চ নেতাদের ফাঁসি, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, অযথা রিমান্ডের নামে পঙ্গু করে ফেলেছে অনেককেই,কাউকে করা হয়েছে গুম।
তারই বাস্তব প্রমান ২০১৩ সালে বাগাতিপাড়া উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাগাতিপাড়া শাখার একটি সুশৃংখল মিছিল চলাকালীন আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পেটুয়া বাহিনী দ্বারা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়,প্রকাশ্যে গুলি করে, অসংখ্য নেতা কর্মীদের আহত করেন, আমাদের নেতা কর্মীদের দোকানপাট লুট করেন, এমনকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিতে বাধা প্রদান করেন তারা।
তাতে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নেতা কর্মীদের ক্ষতি হলেও সে সময় ফ্যাসিস্ট সরকারের পালিত পুলিশ আওয়ামী লীগের দেওয়া মামলা গ্রহন করেন তাতে প্রায় ৯০ জন নেতা কর্মী মামলার আসামি হয়ে দীর্ঘ ১০-১১ বছর বিনা অপরাধে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে, ২০২৩ সালে এসে তাদের আমলেই আদালতে কোন অপরাধ প্রমান না করতে পেরে সকল আসামি নির্দোষ প্রমানিত হয়।আর এটাই হলো আওয়ামী লীগের আসল চরিত্র।
কারণ আওয়ামী লীগ সরকার জানত,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবির কে দমাতে পারলেই তাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ী হবে, সর্বশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ি তারা আগষ্টের ১ তারিখে জামায়াত ইসলামী নিষিদ্ধ করলো কিন্তু ৫ আগষ্টেই শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে ভারতে পালাতে হলো,এটাই ছিলো আল্লাহর পরিকল্পনা বলে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নাটোর জেলা কর্মপরিষদের সদস্য লালপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের আমীর এবং নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
শনিবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জিগরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ও সুধী সমাবেশে সদর ইউনিয়নের সেক্রেটারি বরাতের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেকুর রহমান।
উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা এ কে এম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা কর্মপরিষদের সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ রহমান, উপজেলা নায়েব আমির আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আলী,সদর ইউনিয়নের আমীর শফিউল ইসলামসহ জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মী ও সুধীগন।