দৈনিক ঢাকা সংবাদ: কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পলিত হচ্ছে পবিত্র মহররম। এ উপলক্ষে কলকাতা শহরে সুসজ্জিত তাজিয়া নিয়ে বের হয়েছে শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা শুরু হয় ধর্মতলার নাখোদা মসজিদ ও জিয়া রোড থেকে।
পাশাপাশি হরিশ ট্রিট থেকে একটি শোকযাত্রা বের হয়। সেটি শিয়ালদা ফ্লাইওভার, বেলেঘাটা মেইনরোড হয়ে যাবে।এ ধরনের শোভাযাত্রা বের হয়েছে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়।

তাজিয়া প্রদর্শনী কলকাতার একটি আকর্ষণীয় বিষয়। কালো রংয়ের পোশাক পড়ে এই পবিত্র যাত্রায় অংশ নেয় শোক বিহ্বল ধর্মপ্রাণ মুসলিম মানুষ। নকল অস্ত্র নিয়ে চলে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে মহরম বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাই অনেক জায়গায় শান্তি বজায় রাখতে অস্ত্র না নিয়ে বের হয়েছে পবিত্র শোভাযাত্রা।
প্রতিবারের মতো এবারও মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষ এই পবিত্র শোকযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। কলকাতা শহরের পথের দু’ধারে সব ধর্মের নানা বয়সী অসংখ্য মানুষ তাজিয়া শোভাযাত্রা দেখার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। সে সময় শহরের বিভিন্ন রাস্তার সংযোগস্থলে শরবত ও মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়।

এই পবিত্র মহরম উপলক্ষে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে শহরজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুলিশ। গোটা কলকাতার নিরাপত্তার জন্য ৪২০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও প্রত্যেক স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজ এলাকার দায়িত্ব পালন করবেন। বড় শোভাযাত্রার ক্ষেত্রে সেখানে দায়িত্বে থাকবেন ডেপুটি কমিশনারের মতো কর্মকর্তারা। একটা পেট্রোলিং দল অনবরত কলকাতা শহর জুড়ে টহল দেবে।

পবিত্র আশুরা ঘিরে শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা জোরদার করেছে কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোল। মহরমের এই দিনটিতে ভারতের রাষ্ট্রীয় ছুটি থাকে। ফলে শোকে, উৎসবে, আনন্দে ছুটির দিন পালন করেন মুসলিমসহ কলকাতার সব ধর্মের মানুষ।
এর পাশাপাশি মহরম উদযাপনের জন্য সারাদিন এবং রাতে ঢোল বাজানোর ফলে বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষের কথা ভেবে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে এই পবিত্র মহরম উৎসবের সময় ঢোল বাজানো নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেয়। উৎসব উদযাপনের জন্য ক্রমাগত ঢোল বাজানো নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
দৈনিক ঢাকা সংবাদ.কম/এসএম
আরও পড়তে পারেন…