ঢাকা সংবাদ ডেস্কঃ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আমার ভাইকে কোনো ব্যক্তিগত কারণে হত্যা করা হয়নি। শুধুমাত্র সমাজসেবায় মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ নিট ম্যানুফ্যাক্চারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমই) সাবেক সহ-সভাপতি সাব্বির আলম খন্দকারের ১৯তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার ভাই আইনশৃঙ্খলার মিটিংয়ে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজিদের নাম উল্লেখ করে এবং তারা কে কত টাকা পায় এসব বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আজও আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার পাইনি। শুধুমাত্র টাকার কাছে হেরে গেছি। হত্যাকারীরা টাকা দিয়ে ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিট করিয়েছে। তাই আজও বিচার পাইনি। খুনিরা আবারো ঢাকায় ফিরে আমাদের খুন করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি ১৮ ফেব্রুয়ারিকে সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী দিবস ঘোষণার দাবি করেন।
২০০২ সালের ২২ অক্টোবর ৩২টি ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মতবিনিময় সভায়- ‘আমার জানাজায় অংশগ্রহণ করার আহবান জানিয়ে বক্তব্য শুরু করছি’বলে নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের নাম, ঠিকানা ও তাদের গডফাদারদের নাম প্রকাশ করেছিলেন এই ব্যবসায়ী নেতা। এ ঘটনার কয়েক মাস পরেই ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়ির সামনে আততায়ীর গুলিতে মারা যান এই ব্যবসায়ী নেতা।
এদিকে সাব্বির আলম খন্দকারের ১৯তম শাহাদতবার্ষিকী স্মরণে ও তার খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিশাল শোক র্যালি বের হয়। শহিদ সাব্বির আলম খন্দকার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত উক্ত শোক র্যালিতে দল-মত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কয়েক হাজার নারায়ণগঞ্জবাসী যোগ দেন।
ঢাকা সংবাদ.কম/এসআর